নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ সম্পর্কে সচেতন থাকা :
নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ কানের জন্য ক্ষতিকর। এই ওষুধ ব্যবহারে অন্তঃকর্ণের কিছু সংবেদনশীল অংশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়। এ ধরনের ওষুধ হল- Gentamycin, Streptomycin, Frusemide, Chloroquine এবং Aspirin। এসব ওষুধ অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত।
নিয়মিত শ্রবণশক্তি পরীক্ষা করা :
কেউ যদি নিয়মিত উচ্চ শব্দ বা কোলাহলপূর্ণ এলাকায় অবস্থান করেন তাহলে অবশ্যই তার কানের বার্ষিক পরীক্ষা করানো উচিত।
শব্দ দূষণ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করুনঃ
আমাদের কান একটি নির্দিষ্ট মাত্রার ওপরের শব্দের প্রতি সংবেদনশীল। শব্দের মাত্রা গ্রহণের জন্য ককলিয়ার স্ক্যালা মিডিয়ায় বিশেষ স্থান রয়েছে। স্থানগুলো হচ্ছে উচ্চমাত্রা গ্রহণের জন্য ফেনেস্ট্রা রোটান্ডা-সংলগ্ন অংশ, মধ্যমমাত্রা গ্রহণের জন্য মাঝামাঝি অংশ এবং নিম্নমাত্রা গ্রহণের জন্য শীর্ষের কাছাকাছি অংশ।
আমাদের কানের শ্রাব্যতার একটি মাত্রা আছে। অর্থাৎ কেউ যদি ক্রমাগত এ মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় শব্দ শুনতে থাকে তাহলে একপর্যায়ে আংশিক; পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে কানের শ্রবণশক্তি লোপ পেতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে কান ঝালাপালা করে দেওয়া ভুভুজেলার কথা মনে আছে? ভুভুজেলা থেকে নিঃসৃত শব্দের মাত্রা প্রায় ১২৯ ডেসিবেল পর্যন্ত হতে পারে বলে বিশ্বকাপের সময় ভুভুজেলা নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল বিভিন্ন সংগঠন।
ঢাকা শহরে শব্দদূষণের মাত্রা ভয়াবহ। নির্মাণাধীন ভবন, যানবাহনের আওয়াজ, উচ্চমাত্রায় দোকানে বা মার্কেটে গান বাজানো, সভা-সমিতিতে মাইকের আওয়াজ ইত্যাদি কারণেই উচ্চমাত্রার শব্দ প্রতিনিয়ত নিঃসৃত হচ্ছে। তবে শব্দদূষণের কারণে শ্রবণ সমস্যায় বেশি ভোগেন রাস্তায় অবস্থান করা ট্রাফিক পুলিশ, দোকানদার প্রভৃতি পেশার লোক। ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা শিশুসহ বয়স্ক মানুষও শব্দদূষণের শিকার হন নিমর্মভাবে। অথচ শব্দদূষণ প্রতিরোধ করা খুব কঠিন কাজ নয়। এ জন্য নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি আশপাশের মানুষকেও সচেতন করে তোলা প্রয়োজন।
অন্য যেকোনো ইন্দ্রিয়ের মতোই কানের যত্নে আমাদের সবারই অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত; নতুবা এক মুহূর্তের অসাবধানতার কারণে বরণ করে নিতে হতে পারে শব্দহীন এক পৃথিবীকে।
তথ্যসূত্রঃ উপরের তথ্যগুলো ইন্টারনেটের বিভিন্ন তথ্যসূত্র যেমনঃ নিউজপেপার, ব্লগ ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে । তাই উপরের লেখা গুলোর প্রকৃত লেখকদেরকে কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।