Monday, January 30, 2017

কানঃ সাধারণ অঙ্গটি নিয়ে অসাধারণ যতকথা। পার্টঃ ৫। #DrShahbubAlamTips

কানে কম শোনা ও বধিরতার আধুনিক কারণঃ

বিশ্বায়নের এ যুগে প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে উচ্চ ভলিউমে গান শোনা, ফোনে একটানা দীর্ঘ সময় কথা বলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কনসার্ট, হাইড্রোলিক হর্নের ব্যাপকতা, মিছিল-মিটিংয়ের নামে মাইক্রোফোনের যথেচ্ছ ব্যবহার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে; এটি কানে সামান্য কম শোনা থেকে শুরু করে স্থায়ী বধিরতার কারণ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের প্রয় ১১০ কোটি যুবক-যুবতী শ্রবণশক্তি বিনষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সের প্রায় ৪ কোটি ৩০ লাখ লোক মারাত্মক বধিরতায় আক্রান্ত। স্বল্পোন্নত ও উন্নত বিশ্বের ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সের জনগণের শতকরা প্রায় ৫০ ভাগই তাদের ব্যক্তিগত গান শোনার যন্ত্রে (এমপিথ্রি প্লেয়ার, স্মার্টফোন) অনিরাপদ মাত্রার শব্দ শুনে থাকে। এই যুবাদের শতকরা প্রায় ৪০ ভাগ কনসার্ট, খেলার মাঠ, বার, নাইট ক্লাবে ক্ষতিকর মাত্রার উচ্চ শব্দযুক্ত কোলাহলপূর্ণ স্থানে সময় কাটায়। যা কানে কম শোনা বা বধিরতার অন্যতম কারণ। সুতরাং এমন কোনো গান এবং এমন কোনো কাজ করা উচিত নয়, যা পৃথিবীর যাবতীয় মধুর শব্দ শোনা থেকে আমাদের বঞ্চিত করে। মনে রাখবেন, এটি কোন পোর্টেবল ডিভাইস নয় যে একটায় সমস্যা দেখা দিলে নতুন একটা কিনে লাগাবেন।

বধিরতা রোধের উপায়ঃ

উচ্চ ভলিউমে গান শোনা থেকে বিরত থাকা : দীর্ঘ সময় উচ্চ ভলিউমে গান শোনা শ্রবণশক্তি কমিয়ে দেয়। হেডফোনে গান শোনার সময় বিরতি দিয়ে এবং ভলিউম কমিয়ে গান শোনা উচিত।
কোলাহলপূর্ণ (উচ্চ শব্দযুক্ত) স্থানে দীর্ঘ সময় না থাকা : এক হাত ব্যবধানে বসা দু’জন ব্যক্তির কথোপকথনের সময় যদি স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চস্বরে বা জোরে কথা বলতে হয় তখনই বুঝতে হবে ওই স্থান কোলাহলপূর্ণ বা শব্দ মাত্রাতিরিক্ত। ওই স্থান ত্যাগ করার পরও যদি আপনার কানে শোঁ শোঁ শব্দ অনুভূত হয় অথবা কানে কম শোনেন তখন বুঝতে হবে ওই স্থানটি মাত্রাতিরিক্ত কোলাহলপূর্ণ।

বধিরতার সতর্ক সংকেত সম্পর্কে সচেতন থাকা : বধিরতার সতর্ক সংকেত হল- কোলাহলপূর্ণ স্থান ত্যাগের পর কানে শোঁ শোঁ শব্দ হওয়া, জোরালো শব্দ কম শোনা, ফোনে কথা শুনতে অসুবিধা হওয়া। এর যে কোনোটি থাকলে অতি শিগগির নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

No comments:

Post a Comment